ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৭ দিনে প্রবাসী আয় ২০৯ কোটি ডলার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • / ১০০৫৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আগামী বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেও প্রবাসী আয় বাড়ছে। জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে ২০৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে হুন্ডির প্রভাব কমে গেছে। হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো ডলারের দাম আর খোলাবাজারের দামে বড় পার্থক্য না থাকায় রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ১ থেকে ২৭ জুলাই ২০৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছরের একই সময়ে ১৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। তার মানে, চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

সদ্য বিদায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। তার মানে, বৈধ পথে বা ব্যাংক মাধ্যমে ৩ হাজার ৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে আগে কোনো অর্থবছরে এই পরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি। তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবাসী আয় এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। ফলে বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

এদিকে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং তার বিপরীতে আমদানি কম থাকায় ডলারের চাহিদা কমেছে। সে কারণে টাকার তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম কমতে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতিতে ডলারের দাম ধরে রাখতে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মুদ্রাবাজারে ডলার সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসায় এখন আমদানি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সময় এসেছে। পাশাপাশি বিলাসপণ্য আমদানিতে যেসব বাড়তি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও তুলে নিতে হবে। তাহলে আমদানি বাড়বে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

এদিকে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ২৪ জুলাই ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের অর্থ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৭ দিনে প্রবাসী আয় ২০৯ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০২:৩১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেও প্রবাসী আয় বাড়ছে। জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে ২০৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে হুন্ডির প্রভাব কমে গেছে। হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো ডলারের দাম আর খোলাবাজারের দামে বড় পার্থক্য না থাকায় রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ১ থেকে ২৭ জুলাই ২০৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছরের একই সময়ে ১৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। তার মানে, চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

সদ্য বিদায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। তার মানে, বৈধ পথে বা ব্যাংক মাধ্যমে ৩ হাজার ৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে আগে কোনো অর্থবছরে এই পরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি। তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবাসী আয় এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। ফলে বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

এদিকে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং তার বিপরীতে আমদানি কম থাকায় ডলারের চাহিদা কমেছে। সে কারণে টাকার তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম কমতে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতিতে ডলারের দাম ধরে রাখতে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মুদ্রাবাজারে ডলার সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসায় এখন আমদানি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সময় এসেছে। পাশাপাশি বিলাসপণ্য আমদানিতে যেসব বাড়তি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও তুলে নিতে হবে। তাহলে আমদানি বাড়বে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

এদিকে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ২৪ জুলাই ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের অর্থ।